আজ বুধবার, ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাপে ফাতেমা মনির, অতিরিক্ত হাসলি আদায়ের অভিযোগ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীগঞ্জ খেলার মাঠের পাশে গণপূর্ত বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসলি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গরুর ক্রয়মূল্যের ৫ শতাংশ হাসলি আদায়ের নিয়ম থাকলেও ক্রেতাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৬ থেকে ৭ শতাংশ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

সিরাজগঞ্জ থেকে গরু বিক্রি করতে আসা রেজাউল বেপারির কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেন আলীগঞ্জের রমজান আলী। নিয়মনুযায়ী, ৪২ হাজার টাকায় ৫ শতাংশ হাসলি হলে তার পরিমাণ দাড়াবে ২১’শ টাকা। সেখানে রমজান আলীর কাছ থেকে ৬ শতাংশ হাসলির হিসাব করে ২৫০০ টাকা নিয়েছে হাট পরিচালকরা।

সাধারণ মানুষের অভিযোগের বিষয়ে জানতে দৈনিক সংবাদচর্চা অফিস থেকে মুঠোফোন করা হয় সদর উপজেলায় আলোচিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে। তিনি বলেন, হাটে অনেক খরচ আছে। সে কারণে ৬ শতাংশ হাসলি রাখতে পারে। তবে, কারও কাছ থেকেই ৭ শতাংশ হাসলি রাখা হয়নি। আবার অনেকের কাছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ হাসলিও রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে নিয়মের ৫ শতাংশ হাসলির হিসাবেই টাকা রাখা হয়।

সূত্র মতে, গত ৪ আগস্ট ফাতেমা মনিরের লোকজন শ্রমিক নেতা পলাশ অনুসারিদের দরপত্র কিনতে বাধাঁ দেয়। ওইসময় সেখানে ব্যাপক হট্টগোল হয়। এর পরদিন অর্থ্যাৎ ৫ আগস্ট সদর উপজেলায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫’শ টাকার রেকর্ড দর ঘোষণা করে হাটের ইজারাদার হন সদর উপজেলার আলোচিত ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।

ক্রেতাদের অভিযোগ, চাপ সামলাতে না পেরে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত হাসলি আদায় করা হচ্ছে। অনেকের কাছ থেকেই ৬ থেকে ৭ শতাংশ হাসলি আদায় করা হচ্ছে। আর তাই প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম রুখতে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

অনেকের মতে, এই হাটে এতো টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে কখনোই লাভ করা সম্ভব নয়। ১২ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে সর্বমোট ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ঈদের আগে এতো টাকা উঠাতে গরু বিক্রি করতে হবে ১০ থেকে ১৫ হাজার, যা কল্পনাতিত। কোরবানি বরাবরই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। হিংসা করে মানুষের উপর ঈশ্বার্ণিত হয়ে কখনোই তা অর্জন করা যায় না। মানুষের প্রতি হিংসা করলে সে আগুনে নিজেরই পুড়তে হয় তার জলন্ত প্রমাণ দিলেন ফাতেমা মনির।

সর্বশেষ সংবাদ